বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


1. Logic Of Torture:


A.

আয়িশা রা: কক্ষনোও , নির্যাতিতা ছিলেন না , তিনি যদি নির্যাতিতা থাকতেন , তাহলে , তার দুইবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর সুযোগ ছিল । কিন্তু তিনি তা গ্রহন করেননি । 

First scope,

            ইসলামিক আইন অনুসারে , ৬ বছর বয়সে বিবাহ হওয়ার পর তিনি চাইলেই পরবর্তীতে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারতেন , কারণ তিনি সেসময় , শিশু ছিলেন ।

Second Scope,

            সুরা আহযাবের ২৮ নং আয়াতে পরিস্কার ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে , মা আয়িশা রা: সহ সমস্ত স্ত্রীদেরকে সেসময় ‍সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য , কিন্তু তারা তা করেননি ।

এছাড়াও আছে , নসরুল বারি , ৯ খন্ড , ৫২০ পৃষ্ঠা

বুখারী , ৪৭৮৫ , ৪৫৮৬ নং হাদিসেও আছে । }

কারণ কি ?

এর দ্বারা কি বোঝা যায় ? তিনি অবশ্যই নির্যাতিতা ছিলেন না ।


B.

ইসলাম কক্ষনোও কারোও প্রতি ‍জুলুম করেনা , হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পরলে দেখা যায় , স্ত্রী সহবাসে না আসিলে তাকে পিটিয়ে বস করতে হবে । ইসলাম সেই কথা বলেনা , ! ইসলাম একটি মেয়েকে বিবাহ দেয়ার অনুমুতি দিয়েছে যে কোন বয়সে , কিন্তু সহবাসের পারমিশন দেয় নাই ।

2. Logic Of Marriage Age :

বর্তমান বিবাহের বয়সের উপর নির্ভর করে বলা হচ্ছে , মুহাম্মাদ সা: পিডোফিল বা শিশুকামি ।

আপনি চিন্তা করুন ,

A. Law of Age

বাংলাদেশে যদি বিবাহের বয়স হয় ১৮ বছর , এবং অমেরিকাতে , যদি বিবাহের বয়স হয় ১০ বছর  , তাহলে বাংলাদেশের আইনে এমেরিকার সমস্ত মানুষ শিশুকামি । সুতরাং , আমাদের দেখা উচিত , অমেরিকার সমাজে লোকটাকে শিশুকামি বলা হচ্ছে কিনা । অনুরূপ ভাবে , মুহাম্মাদ সা: এর সেই যুগে তাকে শিশুকামি বলা হয়েছে কিনা , যেহেতু সেরকম কোন ডাটা পাওয়া যায় না

অতএব , এমন বয়স দিয়ে  শিশুকামি যাচাই করা অনার্থক একটি বিষয় কারণ , এই যুক্তিতে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষকেই শিশুকামি বলা যাবে ।


B. Logic Of Physical Damage

আপনার সমস্যা কি এটা নিয়ে যে , বাল্যবিবাহ নিয়ে , বিয়ে হলে অল্প বয়সে ফিজিক্যাল রিলেশনে ফিজিক্যাল ড্যামেজ এর সম্ভাবনা আছে । এটা কি আপনার ক্লেইম ?

তাহলে জেনে রাখুন ইসলামও একই কথা বলছে । একটি মেয়েকে আপনি যে কোন সময় বিয়ে দিতে পারবেন । কিন্তু বালেগা না হওয়া পর্যন্ত , সহবাস এবং স্বামীর ঘড়ে যেতে পারবেনা ।

একই কাজ মা আয়িশা রা: এর জীবন থেকেও আমরা দেখতে পাই ।


C.Logic Of Pedophilia:

আবার অনেকে বলছেন , মুহাম্মাদ সা: পিডোফিল (শিশুকামি) ছিলেন । আচ্ছা , আমরা জানতে পারি , পিডোফিল যারা , সাধারণত এদের কিছু আলাদ িচরিত্র , এবং এদের কার্যক্রম ভিন্ন ধরনের । মুহাম্মাদ সা: এর মধ্য কি আমরা সেরকম কিছু পাই ?

তিনি প্রথমেই বিবাহ করলেন ৪০ বছর বয়সের একজন মহিলাকে । আর বৃদ্ধ বয়সে বিবাহ করলেন এক কুমারী মেয়েকে । তাহলে কিভাবে আপনারা বলবেন তিনি পিডোফিল স্বভাবের ? এটা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই না ।


3.Logic Of No Good No Bad:

কোন নাস্তিক যদি , শিশুকামিতা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলে , তার জানা উচিত যে , নাস্তিকবাদের দর্শনে , খারাপ বা ভালো বলতে কিছু নেই । এটা প্রফেসর রিচার্ড ডকিংস নিজে বলেছে । এছাড়াও , তিনি যখন ছোট ছিলেন , একজন মাষ্টার তার সাথে শিশুকামী আচরণ করেছিলেন , তিনি এটাকে খুব একটা খারাপ কিছু মনে করেননা ।

সুতরাং ,  আমি মনে করিনা , কোন নাস্তিক এটা নিয়ে অভিযোগ তোলার প্রয়োজন আছে ।



4.Logic Of Consent


A. Logic Of Consenst In Two Matured Person

নাস্তিকদের কথা অনুযায়ী যেহেতু , দুজন প্রাপ্ত বয়স্ত ব্যক্তি , যারা সেক্স করতে সক্ষম তারা যৌনসঙ্গম করে এতে কোন সমস্যা নেই । তাহলে , আমরা দলিল তারা বাকি লিখাগুলোতে প্রমান করেছি ,যে , মা আয়িশা রা: কোনভাবেই , অপরিক্কতা ছিলেন না ।  এবং তার সম্মতি ছিল ।

তার যদি সম্মতি না থাকতো , নবী সা: ইন্তেকালের পরেও তিনি জীবিত ছিলেন , সাহাবীদের মাধ্যমে একটি হাদিসে তিনি তো এটি উপস্থাপনা করতে পারতেন । তিনি করলেননা কেন ?


B. Ayesha Consent Logic

অনেকে বলতে পারেন যে , মা আয়িশা যে সহবাসে সম্মতি ছিল , তার প্রমান কি ?   এই ক্লেইম টা অত্যান্ত হাস্যকর একটি ক্লেইম । 

কারণ , আপনি চিন্তা করুন , আপনাকে বিবাহ করে আপনার স্ত্রী যদি সন্তুষ্ট থাকে , এটা কি সারা দুনিয়া বলে বেড়াবে ? আজ থেকে ১০০০ বছর পর কেও দাবি করল , আপনার স্ত্রীর সহবাসে সম্মতি যে ছিল তার প্রমান কই ? এটা হাস্যকর । তার সম্মতি ছিল কিনা এটা প্রমান জরুরী নয় । তার অসম্মতি ছিল এটা যে ক্লেইম করবে তার প্রমানই জরুরী । কারণ আমরা সমাজে একটি স্বামীর উপরে একজন স্ত্রী সন্তুষ্ট থাকবে এটিই স্বাভাবিক অসন্তুষ্ট যদি থাকে এটাই অস্বাভাবিক । অতএব , এটা বলার কোন সুযোগ নেই যে , মা আয়িশা রা: যে রাজি ছিলেন , তার প্রমান কি ?


5.Logic Of Comparative Religion

যেহেতু ইসলাম বিদ্বেশীরা , তারা দাবী করে , যে অল্পবয়সে বিবাহ হওয়ার কারণে , তারা  এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেনা । ঠিক আছে । অন্যন্য ধর্মেরও তাহলে বিরুধীতা করতে হবে । কারণ , তাদের দাবী অনুযায়ী তাদের উদ্দেশ্য ইসলামের বিরূধীতা নয় , বিরূধীতা হল অপ্রাপ্তবয়সের বিবাহের ।

৯ বছর বয়সে মা আয়িশা সহবাস করলেন । আবার কৃষ্ন এবং রুকমিনির বিবাহ হল ৮ বছর বয়সে । রুকমিনি বাসর রাত্রে অজ্ঞান হয়ে গেলেন । তাহলে ১ বছরের পার্থক্যে মা আয়িশার এমন কোন কিছু আমরা দেখতে পাইনা । আর রুকমীনি অজ্ঞান হয়ে গেছে ।

কয়টার বিরুধীতা করেছে তারা ? ইসলামের বিরুদ্ধে এই টপিকের উপরে কয়টা  লাইভ করেছে ? আর অন্যন্য ধর্ম নিয়ে কয়টা লাইভ করেছে ?


6.Qualifications Of Aaisha:

মা আয়িশা রা: যদি ৬ বছর বয়সে বিবাহ এবং ৯ বছর বয়সে মুহাম্মাদ সা: এর বাড়িতে যদি না আসতেন , তাহলে , কিভাবে তিনি ফকীহ , মুফাসসির , পন্ডিত হতেন ? তার মাদ্ধ্যমে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান পেয়েছি । তার থেকে হায়েজ সমপর্কীত হাদীস , সহ অনেক মাসআলা আমরা তার মাদ্ধ্যমেই পেয়েছি । সাহাবীরা কোন বিষয়ে ইখতিলাফে পরলে , তার কাছে এসে , ব্যক্ষা করে নিত । এই বিষয় গুলো এখনোও আমাদের মদ্ধ্যে বিদ্যামান । ২২১০ এরও বেশি হাদীস তিনি বর্ণনা করেছেন । এটা কিভাবে সক্ষম ? যদি বাল্যবিবাহ না হত ?

যদি মা আয়িশা রা: অল্প বছর বয়সে বিবাহ যদি না করতেন , তাহলে কিভাবে তিনি আমাদের সহযোগীতা করতেন ? হাজার হাজার মাসআলা ধামাচাপা পরে যেত । তখন ইসলামবিদ্বেশীরা বলত , তোমাদের ইসলামে এটা নেই ঐটা নেই ।

সুতরাং , মা আয়েশা এর বিবাহ যেমন যৌক্তিক তেমনি সারা বিশ্বের উম্মাহ কে উত্তম ফয়সালার মাদ্ধ্যম ।