বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামুয়ালাইকুম ,




যুক্তিসমূহ

নাস্তিকরা সাধারণত , যেই অভিযোগ কি করে থাকে , যে আল্লাহ তায়ালা নাকি নিজের রং আছে বলে দাবি করেছেন ।

তো আসুন , আমরা খন্ডন করার চেষ্টা করি , যে আসলে প্রকৃত অর্থে আল্লাহ তায়ালা কি বলেছেন , আর নাস্তিকরা আসলে কি বুঝাইতে চান বা আসলে তারা কি মেসেজ দিতে চান ।

নাস্তিকদের ক্লেইম: আল্লাহর রং আছে , কি হাস্যকর ! আবার সেই রঙ্গে শামিল হতে হবে , হাহা কি হাস্যকর !

আমরা যেটা প্রমান করবো তা হল , আল্লাহর রং , এর যৌক্তিকতা কতটুকু ? বা আসলেই এর ব্যক্ষাটি কি ?


আল্লাহ তায়ালা বলেছেন , 

"আল্লাহর রঙে রঞ্জিত এবং আল্লাহর রঙ অপেক্ষা আর কার রঙ উত্তম হবে? এবং আমরা তাঁরই ‘ইবাদাতকারী।" (সুরা বাকারা - ১৩৮)


Tafsir E Anwarul Quran...:



Shobde Shobde Al Quran




এখানে , আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি , যেটি বুঝানো আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের , তার রঙ্গে রঙ্গিন হতে বলছে এবং বান্দা সাক্ষ্য দিচ্ছে যে আমরা তারই ইবাদতকারী । এর দ্বারা বুঝানো হচ্ছে , ইবাদতকারী হতে হলে , আল্লাহর দেয়া রং গ্রহণ করতে হবে । প্রথমে আল্লাহ তায়ালা তার রং কে উপস্থাপনা করেছেন ,  এরপর , বান্দাদের পরিচয় দেয়া কে উপস্থাপনা করেছেন ।

উত্তর হতে পারে কেন ?

এর উত্তরও আল্লাহ তায়ালা আরেকটি আয়াতে বলেছেন ,

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

আমি জিন  মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমারই 'ইবাদাত করার জন্যে।

আল্লাহ তায়ালা যদি ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করে থাকে , আর তিনি বলতেছেন , আল্লাহর দেয়া রং এ রঙ্গিন হতে হবে . তাহলে দেখতে হবে , আল্লাহ তায়ালা কোন রং টি দিয়েছেন ?
আল্লাহ তায়ালা তিনি আমাদের জন্য গাইডবুক দিয়েছেন , আর সেটি হল আল কোরআন । সেখানে আল্লাহ তায়ালার আদেশ এবং নিশেধ বিদ্যামান ।

আমরা আল্লাহর দেয়া রঙ্গে যদি রঙ্গিন হতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের উচিত হবে , তার দেয়া আদেশ গুলো কে মান্য করা তার দেয়া দ্বীন কে গ্রহণ করে , নিজেকে জান্নাতের অধীকারি করে ফেলা ।

তো আসুন দেখি আসলে মুফাসসিরে কোরআনগণ , এই আয়াতের ব্যক্ষা কিভাবে করেছেন ।

ইবনে আব্বাস রা: এই আয়াতের “ছিবাগ’তাল্লাহ” এটার অর্থ করেছেন “আল্লাহর দ্বীন” । তার মানে অর্থটি দাড়ায় আল্লাহর দ্বীনের রঙ্গে রঙ্গীন হওয়া । এবং তার সাথে মুজাহিদ , আবুল আলীয়া , ইকরামা , ইবরাহীম (নাখঈ) হাসান বসরী , কাতাদাহ , যিহাক , আব্দুল্লাহ ইবন কাছীর , আতিয়্যা আওফী , রবী ইবন আনাস এবং সুদ্দী একমত ।

আল্লামা ইবন কাসীর এটিকে “ছিবাগতাল্লাহ” কে অর্থ করেছেনে ”ফিতরাতল্লাহ” মানে আল্লাহর ফিতরাতের রঙ্গে রঙ্গিন হওয়ার কথা বলা হচ্ছে ।

আবার , অনেক মুফাসসিরে কোরআন , তারা এটি উপস্থাপনা করেছেন , ”সত্য মিথ্যার  একত্ববাদী ইবরাহীমের দ্বীন তথা আল্লাহর দীনকে অনুসরণ করা”



উপরের স্ক্রীনশর্টে আপনারা পরিষ্কার ভাবে দেখতে পেয়েছেন , দলিল গুলো , । এখানে কোথাও আল্লাহর রং বলতে বোঝানো হয় নি যে , “লাল , কালো , সাদা , হলুদ ইত্যাদি ।



উপরের দেয়া হাদিসে , আপনারা দেখতে পাচ্ছেন , মুসা আ: রং এর কথা বলছেন । কিন্তু মুহাম্মাদ সা: এর দ্বীনের ব্যাপারে সরাসরি এই আয়াত নাযীল করেছেন , যার ব্যক্ষা আমি আপনাদের সামনে দিলাম ।
কোন ভাবেই এটি প্রমান করা যাবেনা যে বনী ইসরাইলের মত রং এর কথা বলা হচ্ছে এই আয়াতে । বরং ইসলামের রং ই হল আল্লাহর দেয়া দ্বীন ।


উপরে উপস্থাপিত , তাফসিরে জালালাইনেও একই জিনিষ কে সমর্থন করা হয়েছে ।
সর্বশেষ ইসলামবিদ্বেশী ভাই দের কাছে , অনুরোধ থাকবে , যদি , আপনারা এই আয়াতের ব্যক্ষা , আল্লাহর রং বলতে , “লাল , নীল , সাদা “ বুঝিয়ে থাকেন , অবশ্যই এর পক্ষে প্রমান পেশ করবেন । কারণ , কোরআন আপনি আপনার মত বুঝলে বুঝতে পারেন , কিন্তু সেটা স্টাবলিশ করা সম্ভব না , এর কারণ , নবী সা: এর জীবন্ত ইতিহাস আমাদের কাছে আছে ।