বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বনু কোরায়জা কে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে , এটা কোন ইসলাম বিদ্বেশী প্রমান করতে পারবে না ।

বনু কোরায়জার পুরো ইতিহাস টা আপনারা সিরাত গ্রন্থ থেকে আগে পরে নিবেন । এরপর , আশা করি , আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন ।

বনু কোরায়জাকে যখন , তাদেরকে ঘেড়াও করা হলো , তখন , তাদের বিচারের ভার দেয়া হয় সাদ ইবন মুয়াজ রা: কে । 

যখন , সাদ রা: তাওরাতের বিধান অনুযায়ী ফয়সালা করলেন , তাদের মিত্যূদন্ড দেয়া হবে । তারা এটাই মেনে নিলো । তারা ক্ষমা চায় নি ।

প্রথমে দেখে নেই সাদ ইবন মুয়াজ রা: এর ফয়সালা কিভাবে আসলো ।

নিচের স্ক্রীনশর্ট টি দেখুন , এখানে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে , আওস গোত্রের লোকজন তারা বনু কোরাইজার মিত্র ছিল । তাই তারা ছুটে আসে । এবং বিশ্বনবী সা: কে তাড়া বনু কোরাইজার বিষয় নিয়ে কথা বলেন । আর সেখানেই নবী সা: তাদেরকে বলেন , তোমাদের গো্ত্রের একজন যদি বনু কোরাইজার সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে তোমরা খুশি হবে ?

জবাবে তারা বলে : হ্যা অবশ্যই । 

এরপর , নবী সা: সাদ ইবন মুয়ায কে যুদ্ধের ফয়সালা প্রদান করেন ।

প্রমান:সিরাত ইবন হিশাম , খন্ড ৩ , পৃষ্ঠা ২৩৫


এর দ্বারা কিন্তু আমি প্রমান করলাম , বিচারের ভার দেয়া হয়েছিল , সাদ রা: কে । এরপর আসুন পরবর্তীতে যাই ।


সাদ রা: যখন খবর পেলেন তখন তিনি সভায় এলেন । এবং বিষয়টি বুঝে নিলেন ।
এবং তিনি তার রায় দিলেন সমস্ত পুরুষ হত্যা করা হবে । এবং স্ত্রী ও শিশু দের বাদীদে পরিণত করা হবে ।
নিচের স্ক্রীনশর্টে পরিষ্কার ভাবে সমস্ত কিছু  তুলে ধরা হয়েছে ।

প্রমান:সিরাত ইবন হিশাম , খন্ড ৩ , পৃষ্ঠা ২৩৬






প্রমাণ: সহীহ ‍বুখারী , খন্ড ৭ , হাদিস নং: ৩৮২১ ইসলামিক ফাউন্ডেশন



যেখানে তারাই নিজের মত করে মরা কেই বেছে নিচ্ছে সেখানে সমস্যা কোথায় ?
নিচে দেখুন পরিষ্কার ভাবে দেয়া আছে , বনু কোরাইজা বাসী আর্তসমপর্ণ করে নেমে িএসেছে । এর মানে তারা বিচারের রায় মেনে নিয়েছে ।



প্রমান:সিরাত ইবন হিশাম , খন্ড ৩ , পৃষ্ঠা ২৩৭


এর দ্বারা প্রমানিত হলো , তাদের নির্বিচারে মারা হয় নি। বিচার প্রক্রিয়ার মাদ্ধ্যমেই তাদের মারা হয়েছে ।

এছাড়াও বুখারির হাদিস দেখুন