বনু কোরায়জার বিচারে নাকি সব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এটাও একটা মিথ্যা কথা ।
সাদ রা: এর ফয়সালা কি ছিল আগে দেখুন পুনরায় ,
প্রমান: সীরাতে ইবনে হিশাম , খন্ড ৩ , পৃষ্ঠা ২৩৭
এখানে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে , সকল পুরুষকে হত্যা করা হবে । বাকিদের কথা বাদ । নারী ও শিশুদের বাদে ।
এরপরেও ইসলাম বিদ্বেশীরা কিভাবে অভিযোগ তোলে আমার বুঝে আসেনা ।
এছাড়াও সুরা আহযাবে বলা হয়েছে ,
এবার দেখুন , স্পষ্ট ভাবে আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলছেন , তোমরা কতককে হত্যা করেছো কতককে বন্দি করেছো । পরিষ্কার রেফারেন্স ।
প্রমান : আল কোরআন , সুরা আহযাব ২৬ নং আয়াত
এবার আসুন , এখানে পুরুষ বলতে কি বুঝিয়েছে ?
পুরুষ বলতে বালেগ পুরুষ , মানে যোদ্ধাদের বোঝানো হয়েছে । কারণ সেকালে , আলাদা করে মিলিটারি ফোর্স রাখা হত না , বালেগ পুরুষরাই , যোদ্ধা হিসেবে কাজ করত ।
যেমন কিছু প্রমান পেশ করছি ,
এখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যোদ্ধাদের হত্যা করার কথা ।
আরেকটি প্রমান দেখুন , সেসময় পুরুষরাই যে যোদ্ধ ছিল তার প্রমান ,
আগেকার যুগে , প্রাচীন সমাজে ,
পুরুষরাই যোদ্ধা থাকত ।
Encyclopedia রিপোর্ট করেছে ,
Andrew Sanders, in Encyclopedia of Violence, Peace, & Conflict (Second Edition), 2008
Introduction
In discussions of ‘primitive’ societies, the term ‘warrior’ is often applied to any fighting man. This is particularly true in popular literature, where ‘warrior’ and adult male are used as if they are synonymous. In most human societies all able-bodied men were at least potential fighters and engaged in military activity when necessary,
অর্থ হল: ‘আদিম’ সমাজের আলোচনায়, ‘যোদ্ধা’ শব্দটি প্রায়শই যেকোন লড়াইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়। এটি জনপ্রিয় সাহিত্যে বিশেষত সত্য, যেখানে ‘যোদ্ধা’ এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ব্যবহার করা হয় যেন তারা প্রতিশব্দ। বেশিরভাগ মানবসমাজে সমস্ত সক্ষম দেহ পুরুষ কমপক্ষে সম্ভাব্য যোদ্ধা ছিল এবং প্রয়োজনে সামরিক তত্পরতায় লিপ্ত ছিল
সুতরাং , এরকম মনে করা , একদমই , হাস্যকর যে , বনু কোরায়জার যুদ্ধে সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে ।
এর পরে , দেখুন , কিভাবে বালেগ পুরুষ যাচাই করা হয়েছে , সেটাও প্রশ্ন আসতে পারে ।
নিচের স্ক্রীনশর্ট দেখুন ,
প্রমান: ইবনু মাজাহ , আধুনিক প্রকাশনী , খন্ড ৩ , হাদীস নং - ২৫৪১
0 Comments