প্রশ্ন = জুম্মার নামাজ অবহেলা করে বাদ দিলে মোহর পড়ে যায় আর মোহর পড়লে তো নেক কাজ করা যাবে না তাহলে কোন মুসলিম যদি জুম্মার নামাজ অবহেলা করে তিন জুম্মাহ মিস করে তাহলে হাদিস অনুযায়ী মোহর পড়লে এটি কি অন্যায় নয় ?
ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ১১২৫ , হাসান সহিহঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি অবহেলা করে একাধারে তিন জুমুআহ্ ত্যাগ করলো, তার অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয় ।
ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ , হাদিসঃ ১১২৭ , হাসান সহিহঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শোন! তোমাদের কেউ বকরী চরাবার জন্য এক বা দু’ মাইল দূরে চলে গেল, অতঃপর সেখানে ঘাস না পেয়ে আরও দূরে চলে গেল, তারপর জুমুআর দিন এলো, কিন্তু সে এসে জুমুআর সলাতে উপস্থিত হলো না। তারপর আরেক জুমুআহ এলো এবং সে তাতেও হাযির হলো না, তারপর আরেক জুমুআহ এলো এবং সে তাতেও হাযির হলো না, শেষে তার অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়।
উত্তরঃ এই হাদিসে আসলে উগ্র কাফেরদের মত যে মোহর মারা হবে সেরকম কিছুই বলা হয়নি । সহিহ মুসলীম শরীফ, সহজ ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ , সম্পাদনা হাফেয মাওলানা মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান , ২ খণ্ড , ৭৫৯ পৃষ্ঠায় "জুমুআ ত্যাগ সম্পর্কে কোঠর সতর্কবানী" শিরোনামে ঐ হাদিসের স্পষ্ট ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে অন্তরে মোহর অংকনের মর্ম বলতে কোন কোন গবেষক আল্লাহর রহমত উদ্দেশ্য অর্থাৎ যে ব্যাক্তি জুমা পরিত্যাগ করবে সে আল্লাহর অনুকম্পা হতে দূরে সরে যাবে । আবার কোন কোন গবেষকের মতে আল্লাহ তাদের অন্তরে কুফুরী সৃষ্টি করে দিবে । জুমার নামার অনাদায়ী ব্যাক্তির অন্তরে এমন একটি আবরণ আচ্ছাদিত করা, যার ফলে সে সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে না । অপবিত্র অর্থাৎ জুমার নামাজ পরিত্যাগকারীর অন্তর অপবিত্র করে দেয়া হয় ।
ihadis.com, হাদিস সম্ভার , হাদিস ৭৫০ , সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি বিনা ওজরে তিনটি জুমআহ ত্যাগ করবে, সে ব্যক্তি মুনাফিক ।
ihadis.com, হাদিস সম্ভার , হাদিস ৭৫৩ , সহিহ হাদিসঃ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ “যে ব্যক্তি পরপর ৩টি জুমআহ ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকে নিজের পিছনে ফেলে দিল।”
সুতরাং কোন মুসলিম যদি ইচ্ছা করে বিনা কারনেই পরপর তিন জুমা ত্যাগ করে তাহলে এটি খুবই অন্যায় , খুবই । এবং সে যদি তওবা না করে তাহলে তার অন্তর আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে যাবে , সে মুনাফিক হয়ে এবং সে যেন ইসলামকে পিছনে ফেলে দিল তাই কোন মুসলিমের উচিৎ নয় যে সে ইচ্ছা করে বিনা কারনে তিন জুমা ত্যাগ করবে ।
তবে তিন শ্রেণীর মানুষের জন্য জুমার নামাজ ফরজ নয়ঃ
ihadis.com, হাদিস সম্ভার , হাদিস ৭৫২ ,সহিহ হাদিসঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জামাআত সহকারে জুমআহ ফরয। অবশ্য ৪ ব্যক্তির জন্য ফরয নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ।
0 Comments