বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
প্রথমে আমরা দেখবো , আয়াত টি তে কি বলা হয়েছে,
উপরে উল্লেখিত আয়াত টিতে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে,
”মুমিনগণ যেন মুমিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে; িএবং তাদের আশঙ্কা হতে আত্মরক্ষা ব্যতীত যে এরূপ করে আল্লাহর সাথে তার কোন সমপর্ক নাই; আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন ।”
সুরা আল ইমরান আয়াত ২৮
আয়াতটিতে যা বলা হয়েছে, আরেকটি আয়াত আমরা দেখি ।
সুরা আল ইমরানের ১১৮ , ১১৯ , ১২০ নং আয়াতে আবার এ বিষয়ে বলা হয়েছে ।
উপরের আয়াতে ১১৮ এবং ১১৯ নং আয়াতে যা বলা তা হল ,
যেহেতু অমুসলিমরা মুসলিম দের খারাপ চায় , অর্থ হল , ভালো চায় না, সেহেতু, মুসলিমদের ক্ষতি হলে অমুসলিমরা আনন্দ পাবে এটাই স্বাভাবিক । তাই আল্লাহ তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে নিশেধ করেছে । এর মানে এই নয় যে বিনা কারণে ,
বলা হয়েছে এমনটা কিন্তু নয় ।
ইসলাম বিদ্বেশীদের কাছে প্রশ্ন, কেও যদি তাদের ক্ষতি করতে চায় , তাহলে তারা কি তাদের সাথে ভালো সমপর্ক রাখবে ?
তাদের কথা অনুযায়ী ইসলাম তাদের ক্ষতি করতেছে, আমার প্রশ্ন ইসলাম কে কি তারা ক্রিটিসিজম করতেছেনা ? তারা কি এই কথা প্রচার করতেছে না , যে ইসলাম মানবতার দুশমন ? এটা কি প্রচার করতেছে না ? তাহলে এই আয়াত নিয়ে কেন তাদের মাথা ব্যাথা ?
আল্লাহ তায়ালা সুরা আন নিসা তে কি বলেছেন দেখুন,
সুরা আন নিসা ৮৯ নং আয়াতএর অর্থ হল আল্লাহ তায়ালা শুধু শুধু তাদের দুশমন , বলেন নাই , তার পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে । আল্লাহ তায়ালা, পরিষ্কার ভাবে বলেছেন, তারা যেরূপ অবিশ্বাস করে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাও ।
আবার আন নিসা ৯০ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
৯০ নং আয়াতে আবার পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে, যদি তোমাদের সাথে সন্ধিচ্যুত করতে চায় , তবে সন্ধি করতে যাওয়া নাজায়েজ কিছু নয় । তারা যদি শান্তি চুক্তি করে তাহলে তাদের সাথে চুক্তি করা যাবে । তাহলে নাস্তিকরা যা প্রচার করে তা হল “ অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেনা , এটা করলে ঈমান চলে যাবে” ! অথচ, আল্লাহ তায়ালা বলে দিচ্ছে, তোমাদের সাথে যদি তারা সংগ্রাম না করে , তোমাদের কাছে সন্ধি চায় তোমরা সন্ধি করো ।
পরিষ্কার ভাবে বোঝা গেল সন্ধি কোন ক্ষেত্রে করা জায়েজ , আর কোন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব থেকে বিরত রাখা নাজায়েজ ।
0 Comments